About us

This is an Online Travel Agency (OTA) portal of Shuktara Travels which is registered under the Ministry of Civil Aviation & Tourism of Bangladesh. The agency provides efficient, hassle-free & affordable travel experience to the travelers and tailor-make travel solutions for diverse categories of clientele including corporate, groups, families as well as individuals.

+88-09678771222
Suite B1, House 25, Road 47, Gulshan 2, Dhaka 1212
booking@shuktaratravels.com

Airport Basics

এয়ারপোর্টঃ সাধারণ করণীয়

এয়ারপোর্ট নানামুখী গন্তব্যের কেন্দ্রবিন্দু। ব্যস্ত এই জায়গায় প্রথম দিককার অভিজ্ঞতায় কি করণীয় তা বুঝতে অনেক সময় হিমশিম খেতে হয়।
যাত্রীদের সুবিধার্থে এয়ারপোর্টে প্রবেশ থেকে শুরু করে প্লেনে উঠা এবং গন্তব্যে পৌঁছা পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য ব্যপার গুলো আলোচনা করা হল।
একনজরেঃ
১। ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন
২। ব্যাগেজ নির্দিষ্ট স্থানে হস্তান্তর করা
৩। এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশান থেকে বহির্গমন হল পর্যন্ত সকল প্রক্রিয়া
৪। নির্দিষ্ট বোর্ডিং গেইট খুঁজে বের করা
৫। প্লেনে উঠা এবং গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা
৬। গন্তব্যে পৌঁছে সিকিউরিটি চেকের পর লাগেজ সংগ্রহ করা
চেকিং-ইনঃ
ফ্লাইটের পূর্বে, এয়ারপোর্টে প্রবেশ করে পাসপোর্ট, বুকিং PNR/টিকেট কাউন্টারে প্রদান করে, লাগেজ হস্তন্তরের মাধ্যমে বোর্ডিং পাস গ্রহন করাই হল মূলত চেকিং-ইন করা যা ফ্লাই করার আনুষ্ঠানিক প্রথম ধাপ।
সেলফ সার্ভিস চেকইন সুবিধা সাধারণত সব এয়ারপোর্টে থাকেনা। এই সুবিধার মাধ্যমে একজন যাত্রী স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে নিজে নিজেই চেকইন করতে পারেন। এই সেলফ সার্ভিস চেকইন সাধারণত ফ্লাইটের ২ ঘন্টা আগে শুরু হয়ে, ৪০ মিনিট আগে বন্ধ হয়ে যায়।
এছাড়া অনলাইনে কোন যাত্রী ফ্লাইটে তার পছন্দের খাবার এবং অনেক ক্ষেত্রে সীট নাম্বারও আগে ভাগে বেছে নিতে পারেন।
চেকইনে জ্ঞাতব্য বিষয়ঃ
১। চেকইন করার সময় বুকিংয়ে প্রদানকৃত PNR (Passenger Name Record) প্রয়োজন হবে
২। চেকইন অফিসার থেকে অবশ্যই আপনার পরবর্তী করনীয় সম্পর্কে জেনে/নিশ্চিত হয়ে নিবেন।
লাগেজ চেকইনঃ
চেকইনের সময় একজন যাত্রী সাধারণত সরাসরি কোন কাউন্টারে চেকইন করে তার বহনকৃত ব্যাগ লাগেজ চেকিং+ট্যাগিং (স্টিকারের মাধ্যমে চিহ্নিত করে দেয়া যে লাগেজটির চেকিং সম্পন্ন হয়েছে) করে থাকেন। ঊল্লেখ্য যে, এই প্রক্রিয়াটি সেলফ চেকইনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
লাগেজ চেকইনে জ্ঞাতব্য বিষয়ঃ
১। নিশ্চিত হয়ে নিন যে, আপনার বহনকৃত লাগেজটির আকার এবং ওজন কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত পরিমাপের মধ্যে আছে
২। নিশ্চিত হয়ে নিন যে, আপনি কোন ক্ষতিকারক মালামাল বহন করছেন না
৩। নিশ্চিত হোন যে, আপনি কোন অতিব মূল্যবান সামগ্রী, যেমন- নির্ধারিত অংকের অতিরিক্ত অর্থ, অলংকার, অথবা অননুমোদিত ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ইত্যাদি বহন করছেন না
৪। আপনার লাগেজটি ভালোভাবে লক করে রাখুন, যেন তা সর্বাবস্থায় নিরাপদ থাকে
৫। আপনার লাগেজ/ব্যাগ, সম্ভব হলে প্লাস্টিক/টেপ/রশি ইত্যাদি দিয়ে মুড়িয়ে অথবা বেঁধে রাখুন। সেলোফেন র‍্যাপ সাধারণত যেকোন এয়ারপোর্টে পাওয়া যায়।
কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সঃ
চেকইন করার পর আপনাকে কাস্টমস ফর্মালিটিস সম্পন্ন করতে হবে। এজন্যে নির্ধারিত বুথে সারিবদ্ধ ভাবে যাত্রীদের পাসপোর্ট, পূরণকৃত ইমিগ্রেশন ফর্ম, বোর্ডিং পাস ইত্যাদি চেক করা হবে এবং যাত্রীর প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ এন্ট্রী করে ছবি তুলে নেয়া হবে।
এয়ারপোর্ট সিকিউরিটিঃ
ফ্লাইটের আগে আগে আপনাকে এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি চেকে যেতে হবে, যা কিনা বহির্গমণ হল (Departure hall) এর প্রারম্ভে। কিন্তু আপনি যদি নিশ্চিত না থাকেন সিকিউরিটি চেক কোথায় হচ্ছে, তবে অবশ্যই কোন স্টাফের সহায়তা নিবেন তা জানার জন্যে। কোন কোন ক্ষেত্রে এয়ারপোর্টে আগমনী গেট অথবা কাস্টমস/ইমিগ্রেশানের আগে অথবা পরে কোন এক বা একাধিক প্রান্তে সিকিউরিটি চেকপোস্ট থাকতে পারে।
এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি চেকে আপনার লাগেজ এক্স-রে মেশিনে নিখুঁতভাবে চেক করা হবে সাথে আপনাকে এবং আপনার সাথে থাকা জিনিসপত্র, যেমন- মোবাইল, মানিব্যাগ ইত্যাদিও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেক করা হবে। আপনি যথাসম্ভব আপনার সাথে থাকা এইসব জিনিসপত্র সিকিউরিটি টীমের ট্রে তে প্রদান করবেন। সিকিউরিটি অফিসারগণ আপনার বোর্ডিং পাস দেখতে চাইবেন।
আপনার নিজের এবং সাথে থাকা লাগেজের চেকিং সম্পন্ন হলে এবার আপনি আপনার বোর্ডিং গেইটের দিকে যাবেন।
এয়ারপোর্ট সিকিউরিটির জ্ঞাতব্য বিষয়ঃ
১। আগে থেকেই এয়ারপোর্ট কর্তৃক নির্ধারিত বিপদজনক/ক্ষতিকর/অবৈধ মালামাল সম্পর্কে ধারণা রাখুন
২। সিকিউরিটি অফিসারগণ আপনাকে যেকোন সময় তল্লাশী করতে চাইতে পারেন
৩। যারা ল্যাপটপ বহন করবেন, তারা তা কোন ব্যাগে না রেখে আলাদাভাবে সিকিউরিটি চেকে দিবেন
কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের পর আপনার হাতে যদি যথেস্ট সময় থাকে, তবে হাল্কা খাওয়া দাওয়া, ডিউটি ফ্রী শপ থেকে কেনাকাটা করে নিতে পারেন
বোর্ডিং গেইট খুঁজে বের করা এবং এয়ারক্রাফটে বোর্ডিংঃ
বোর্ডিং গেইট সাধারণত কোন অক্ষর বা নাম্বার দিয়ে নির্দেশিত থাকে। যেমন- A12. বোর্ডিং পাসেই বোর্ডিং নাম্বারটি প্রিন্টেড থাকবে। সাধারণত ফ্লাইট ছাড়ার বেশ কিছুক্ষণ পূর্বে বোর্ডিং গেইট বন্ধ হয়ে যায়। সুতরাং, বোর্ডিং গেইটে ঢোকার নির্ধারিত সময় মিস করে যদি আপনার কাংক্ষিত এরোপ্লেনটিকে আপনি দাঁড়িয়েও থাকতে দেখেন, তাহলেও কিন্তু আপনার ফ্লাইট টি মিস হয়ে গেলো! কেনোনা বোর্ডিং টাইমের নির্ধারিত সময়ের পর আর বোর্ডিং হয়না। অতএব হাতে অতিরিক্ত সময় থাকলেও বোর্ডিং গেইটটি আগে ভাগে চিনে নিন, প্রয়োজনে কোন এয়ারপোর্ট স্টাফের সাহায্য নিন।
আপনার বোর্ডিং পাসের একটি অংশ সংশ্লিষ্ট স্টাফেরা কেটে নিবেন। এরপর একটি টানেলরুপ ব্রীজের মধ্যে দিয়ে/নির্দেশিত পার্কিংয়ে রাখা বাস/অন্যান্য পরিবহনের মাধ্যমে যাত্রী সাধারণ তাদের নির্ধারিত এয়ারক্রাফটে প্রবেশ করবেন।
এয়ারক্রাফটের প্রবেশমুখে, যাত্রীদের অভ্যর্থনা জানিয়ে শেষবারের মত বোর্ডিং পাস চেক করা হবে এবং তাদের আসন খুঁজে পেতে সাহায্য করা হবে। যাত্রীগণ তাদের সাথে থাকা হাল্কা ব্যাগ/জিনিসপত্র তাদের নির্ধারিত সীটের উপরের বক্সে রাখতে পারেন।
বোর্ডিংয়ের জ্ঞাতব্য বিষয়ঃ
১। আপনার ফ্লাইটের ১৫ মিনিট আগেই বোর্ডিং ক্লোজ হয়ে যাবে
২। এজন্যে আগেভাগেই বোর্ডিং গেইট চিনে নিন
৩। এয়ারক্রাফটে আপনার নির্ধারিত সীটে না পৌঁছানো পর্যন্ত বোর্ডিং পাস, বিভিন্ন আইডি, পাসপোর্ট ইত্যাদি আপনার হাতের নাগালে রাখুন
৪। বোর্ডিং গেইটে যে ফ্লাইট নাম্বারটি প্রদশির্ত হচ্ছে, তা আপনার বোর্ডিং পাসের ফ্লাইট নাম্বারের সাথে মিলিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন
৫। যেকোন প্রয়োজনে, এয়ারপোর্ট স্টাফ/আপনার বুকিংকৃত এয়ারলাইন্স এর স্টাফের সহায়তা নিন
আগমণ (Arrival):
এয়ারক্রাফট নিরাপদে অবতরন করার পর, কেবিন ক্রুদের নির্দেশনা মতে সীট বেল্ট খুলে, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে সুশৃংখল ভাবে বের হয়ে বোর্ডিং পার হয়ে আসুন। উল্লেখ্য যে, আপনি যেই দেশেই ভ্রমণ করুন না কেনো, তাদের ইমিগ্রেশন ফর্ম অবশ্যই পূরণ করে রাখবেন, যা কিনা অনুরূপ ভাবে আপনার গন্তব্যের কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সে প্রয়োজন হবে।
এরপর নির্দেশিত পথে গিয়ে আপনার চেকইন হওয়া লাগেজ সংগ্রহ করে বের হয়ে আসুন।
আপনাদের ভ্রমণ নিরাপদ, আনন্দময় হোক!
You don't have permission to register